সাহিদুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার)
৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুর: প্রধান উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ ও সতর্কবার্তা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে “অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত” বলে মন্তব্য করেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক উসকানিমূলক বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই ঘটনায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গত ছয় মাসে ঐ বাড়িতে কোনো ধরনের হামলা বা ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। তবে বুধবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার মূল কারণ শেখ হাসিনার বিতর্কিত বক্তব্য। তার বক্তব্যের দুটি দিক রয়েছে—
প্রথমত, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী শহীদদের সম্পর্কে অপমানজনক ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি তাদের অবমাননা করেছেন। এই উসকানিমূলক কথাবার্তা জনগণের ক্ষোভ বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ক্ষমতায় থাকাকালীন যেভাবে হুমকি ও দমননীতির আশ্রয় নিয়েছিলেন, বর্তমানে পলাতক থাকলেও একই সুরে তিনি গণ-অভ্যুত্থান ও তাতে অংশগ্রহণকারীদের হুমকি দিচ্ছেন। তার এহেন আচরণ জনগণের মনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে এবং সেটির প্রতিক্রিয়ায় ৩২ নম্বর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে এবং জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে, সরকারের প্রত্যাশা যে, ভারত তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কাজে ব্যবহারের সুযোগ দেবে না এবং শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করতে দেবে না।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, জুলাই গণহত্যার বিচার পুরোদমে এগিয়ে চলছে এবং যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।