মোঃ মিলন সরকার ( কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি ): এক শ্রেণী থেকে পাস করা ছাত্র-ছাত্রীর অন্য শ্রেণীতে পুনঃ ভর্তি ফি লাগবে সেশন-ফি, উন্নয়ন-ফি, তবে প্রতিষ্ঠানিক এ সব কি নিচ্ছে।
৯০ দশকে এক শ্রেণিতে পাশ করার পরে নতুন করে ভর্তি হতে হতো না। শুধু মাসিক বেতন পরিশোধ করলে অন্য শ্রেণিতে চলে যেত, ২০০৫ সালেল পরে পুরোপুরি সিষ্টেম বদল করে কিছু সংখ্যক অসাধু স্কুল ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের নামের ব্যবসায়ী তবে এরা রীতিমত করছে চাঁদাবাজি।
গাজীপুরে কালিয়াকৈর সফিপুর বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম স্বপন বলেন।
একশ্রেণীতে সারা বছর পড়ার পর বার্ষিক পরীক্ষার পাশ করা ছাত্র থেকে পুনঃ ভর্তি ফি কেন নিতে হবে! অভিভাবক বর্তমান সময়ে একজন সন্তানকে লেখাপড়া করাতে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মিটিয়ে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগানো সত্যিই কষ্টসাধ্য। প্রতিমাসের স্কুলের বেতন, খাতা কলম, টিউশন এর পিছনে ব্যয় করতে করতে অভিভাবকগণ এর অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। ডিসেম্বর আসলেই মধ্যবিত্ত ফ্যামিলিকে পড়তে হয় বড় ধরনের বিপাকে।
স্কুলের বকেয়া বেতন পরিশোধ, পরীক্ষার ফি, নতুন জামা কাপড়, জুতো বই, গাইড, খাতা এসব কিনতে হয় চড়াদামে। এর মধ্যে আবার ভাবতে হয় স্কুলের পুনঃ ভর্তি ফি নিয়ে, স্কুল ভেদে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে এর পরিমাণ।
প্রশ্নহচ্ছে একই স্কুলে পড়ে বার্ষিক পরীক্ষায় পাস করে পরের শ্রেণিতে আবার নতুন করে ভর্তি হতে হবে কেন? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ রকম ব্যবসায়িক মন মানসিকতা ছেড়ে শিক্ষা কে সেবার পর্যায়ে বিবেচনায় রাখাটা প্রয়োজন। আশাকরি, এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। একই স্কুলে এক শ্রেণি থেকে পাস করা ছাত্রের পুন ভর্তি ফি পুরেটা অযৌক্তিক বলে মনে করি। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের অতি সাধারণ অভিভাবকগণ।
পরবর্তী নিউজ এর প্রস্তুতি চলছে। তবে খুব শীঘ্রই এইসব সেশন-ফি, উন্নয়ন-ফি, ইত্যাদির নামে প্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষার নামে ব্যবসা করছে । এ সকল প্রতিষ্ঠান নাম উন্মোচন করা হবে।